জলদূষণ

       (Water Pollution)



                 -: জলদূষণের সংজ্ঞা :-

জলের সঙ্গে কোনো অবাঞ্ছিত পদার্থ মিশে যাওয়ার ফলে যদি জলের ভৌত, রসায়নিক ও জৈব বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন হয় এবং তার ফলে জলজ উদ্ভিদ, প্রাণী ও মানুষের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে, তবে জলের সেই খারাপ অবস্থাকে জলদূষণ বা ওয়াটার সলিউশন বলে ।

পরিবেশবিদ বিজ্ঞানীরা জলদূষণের নানা সংজ্ঞা দিয়েছেন । তাদের কথার মূল সুর এক হলেও,ব্যাখ্যার ধরনটি আলাদা ।

যেমন- মনিবাসকম তাঁর 'এনভায়রনমেন্টাল পলিউশন" নামক গ্ৰন্থে বলেছেন যে,জলের বৈশিষ্ট্য এবং গুণগত মানের কুফলদায়ী পরিবর্তনকে জলদূষণ বলে । এর ফলে জলের উপযোগিতা নষ্ট হয় ।

সাউথউইক তাঁর ' ইকোলজি অ্যান্ড দ্যা কোয়ালিটি অব আওয়ার এনভায়রনমেন্ট" গ্ৰন্থে জলদূষণের সংজ্ঞায় বলেছেন যে,মূলত মানুষের কর্মকান্ড ও প্রাকৃতিক কারণে জলের প্রাকৃতিক, রাসায়নিক এবং জৈব উপাদানগুলির গুণমান নষ্ট হওয়াকে জলদূষণ বলে ।

            -: জলদূষণের কারণ :-

জল নানা কারণে দূষিত হয় । যেমন- 

১. ঘর- গৃহস্থালির দৈনন্দিন আবর্জনা জলকে দূষিত করে। 

২. শিল্পজাত আবর্জনা জলকে দূষিত করে ।

৩. কৃষিজাত আবর্জনার জন্য জল দূষিত হয় ।

৪. বৃষ্টির পরে জনবসতি থেকে ধুয়ে আসা ময়লা জলের কারণে জলদূষণ ঘটে ।

৫. ডিটারজেন্ট- এর প্রভাবে জল দূষিত হয় ।

৬. সমুদ্রজলে ভাসমান তেল সমুদ্রজলকে দূষিত করে ।

৭. অ্যাসিড বৃষ্টিও জলকে দূষিত করে ।

৮.জলের তাপ বৃদ্ধি পেলে জল দূষিত হয়।

৯. জলে রোগ জীবাণু বৃদ্ধি পেলে জলদূষণ ঘটে ।


             -: জল দূষণের প্রভাব :-

       -: মানবদেহে জলদূষণের প্রভাব:-

দূষিত জল থেকে টাইফয়েড, জন্ডিস, আমাশয়,আন্ত্রিক,পেট খারাপ,টিভি, হেপাটাইটিস, চর্মরোগ, আর্সেনিক দূষণ প্রভৃতি রোগ মহামারি আকার ধারণ করতে পারে ।

তামা, ক্লোরিন,পারদ,নিকেল, লোহা, সায়ানাইড মিশ্রিত জল থেকে চর্মরোগ ও পেটের অসুখ দেখা দেয় । অতিরিক্ত ফ্লুরিন মিশ্রিত জল থেকে অ্যালার্জি,কিডনির সমস্যা, প্যারালিসিস,হাড়ের বিকৃতি প্রভৃতি কঠিন রোগ দেখা দিতে পারে ।

 -: পরিবেশের ওপর জলদূষণের প্রভাব :-

১. দূষিত জলে কৃষিকাজ করা হলে ব্যাকটিরিয়া ও মাটির মধ্যে বসবাসকারী জীবাণুর ক্ষতি হয় ।

২.  দূষিত ভৌমজল মাটিতে ক্ষারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ।

৩. দূষিত জলে উদ্ভিদের শারীরবৃত্তিয় পরিবর্তন ঘটে । ফলে শস্যের গুণগত মান নষ্ট হয় । কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয় ।

৪. সমুদ্রজলে ভাসমান তেলের আস্তরণ সামুদ্রিক প্রাণী ও উদ্ভিদের ক্ষতি করে এবং মাছের উৎপাদন কমে যায় ।

৫. দূষিত জলের প্রভাবে জলজ উদ্ভিদের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ জমা হয় ।

 যেমন :- ন্যাপথালিন,ফেনানথ্রিন,বেঞ্জপাইরিন ইত্যাদি ।

        -: জলদূষণের প্রকারভেদ :-

জলদূষণ পাঁচ ধরনের । যেমন :-

1.ভৌমজল দূষণ ( Ground Water Pollution )

2. নদীজল দূষণ ( River Water Pollution )

3. হ্রদজল দূষণ ( Lake Water Pollution )

4. সমুদ্রজল দূষণ ( Sea water Pollution )

5. জলাশয়গুলিতে জল দূষণ ( Surface Water Pollution )

               -: জলদূষণের উৎস :-

জলদূষণের প্রত্যক্ষ উৎস :- যে যে জায়গা থেকে জল দূষিত হচ্ছে,তাদের যখন সরাসরি চিহ্নিত করা যায় ও কীভাবে দূষিত হচ্ছে তা বোঝা যায়, জলদূষণের সেই উৎসগুলিকে প্রত্যক্ষ উৎস বা পয়েন্ট সোর্স বলে ।

যেমন :- কলকারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র,নর্দমা ইত্যাদি । জলদূষণের এই উৎসগুলিকে প্রযুক্তির সাহায্যে,যন্ত্রপাতির সাহায্যে বা আইন করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

জলদূষণের অপ্রত্যক্ষ উৎস :- কোন্ কোন্ জায়গা থেকে জল দূষিত হচ্ছে, তাদের যখন সরাসরি চিহ্নিত করা যায় না, বা কোনো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করেও তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে, জলদূষণের সেই উৎসগুলিকে অপ্রত্যক্ষ উৎস বা নন্- পয়েন্ট সোর্স বলে ।

যেমন :- চাষের জমি, বনভূমি, রাস্তাঘাটের নোংরা জল ইত্যাদি ।

           -: আর্সেনিক দূষণ :-

          সংজ্ঞা :অতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত হয়ে জল বা মাটি দূষিত হওয়াকে আর্সেনিক দূষণ বলে। তবে,আর্সেনিক দূষণের কথায় সাধারণভাবে জলদূষণের কথায় প্রথমে মনে পড়ে ।

আর্সেনিক একটি মৌল। ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে আর্সেনিক বিভিন্ন বিষাক্ত ধাতব যৌগ তৈরি করতে পারে । আর্সিন গ্যাস,আর্সিনাইট্স,আর্সেন অক্সাইড ইত্যাদি যৌগগুলি উদ্ভিদ, প্রাণী, মানুষ ও পরিবেশের ক্ষতি করে । মাটির সঙ্গে অতিরিক্ত আর্সেনিক যুক্ত হলে মাটি দূষিত হয় । তেমনি জলের সঙ্গে আর্সেনিক মিশে জলকে দূষিত করে তোলে ।

              -: আর্সেনিক দূষণের মাত্রা :-

ইদানীং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আর্সেনিক দূষণের মাত্রা বেড়ে চলেছে যেমন, তাইওয়ান, মেক্সিকো,চিলি, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ,ভারত ইত্যাদি । পশ্চিমবঙ্গের ১২ টি জেলায় ১১১ টি ব্লকে আর্সেনিক দূষণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ কোটি । এদের মধ্যে প্রায় দু লক্ষ মানুষ গুরুতর চর্মরোগে ভুগছেন । এই জেলাগুলিতে প্রতি লিটার দূষিত জলের মধ্যে আর্সেনিকের গড় পরিমাণ হল ৫০ মাইক্রোগ্ৰাম-এর বেশি । যদিও আর্সেনিকের সর্বোচ্চ অনুমোদিত মাত্রা হল ০.০৫ মিলিগ্ৰাম/ লিটার ।

            -: আর্সেনিক দূষণের কারণ :-

সাম্প্রতিক কালে জলে আর্সেনিক দূষণের জন্য মাটির গভীরে অতিরিক্ত আর্সেনিকযুক্ত স্তরের প্রভাব আছে বলে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন । এখানে উল্লেখ করা যায় যে, মাটিতে লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকলে সেই মাটিতে আর্সেনিকের পরিমাণও বেশি হওয়ায় আশঙ্কা বেশি থাকে । ভারত, বাংলাদেশ, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মেক্সিকো,কানাডা, জার্মানি, রাশিয়া, চীন, তাইওয়ান প্রভৃতি দেশের মাটিতে লোহা ও অ্যালুমিনিয়ামের পরিমাণ বেশি বলে, এখানকার জল ও মাটি আর্সেনিক আক্রান্ত হওয়া সহজ ।

     : মানুষের ওপর আর্সেনিক দূষণের প্রভাব:

সাম্প্রতিক কালে জলে আর্সেনিক দূষণের প্রভাবগুলি হল :-

১. ফুসফুসের প্রদাহ,অ্যাজমা,ব্রঙ্কাইটিস হয় ।

২. যকৃতের রোগ দেখা দেয় ।

৩. মানুষের ত্বক,নখ ও চুলে আর্সেনিক সঞ্চিত হয়ে গায়ে ফুসকুড়ি, হাতে পায়ে কালো দাগ, চুলকুনি,ক্যানসার হতে পারে।

হাতে ও পায়ের নখে অসংখ্য সাদা দাগ তৈরি হয় । চুলকুনি, ক্যানসার হতে পারে । হাতে ও পায়ের নখে অসংখ্য সাদা দাগ তৈরি হয় একে' মিজ রেখা"বা'অল্ডরিচ মিচ লাইন" বলে ।

৪. গায়ে, মুখে নীলচে ছোপ দেখা দেয় ।

৫. মূত্রনালিতে রোগ হয় ।

৬. পায়ের পাতায় কালো রঙের ঘা হয়। একে' ব্ল্যাকফুট ডিজিজ" বলে । এই রোগে আক্রান্ত হয়ে চিলি ও তাইওয়ানে বহু লক্ষ লোক মারা গেছেন ।

উদ্ভিদ ও জীবজন্তুর ওপর আর্সেনিক দূষণের প্রভাব :- উদ্ভিদের কোশে আর্সেনিক জমা হয় এবং ওই কোশকে ক্ষতিগ্ৰস্ত করে । আর্সেনিক দূষণে জীবজন্তুর চর্মরোগ হয় । ফুসফুস আক্রান্ত হয় । 


 আর্সেনিকোসিস :- আর্সেনিক দূষণের ফলে মানুষের দেহে যে রোগের সৃষ্টি হয়, সেই রোগকে আর্সেনিকোসিস বলে ।

         -: আর্সেনিক দূষণ নিয়ন্ত্রণের উপায় :-

১. পানীয় জলকে পুরোপুরি আর্সেনিক মুক্ত করার উপায় সম্প্রতি ( জুলাই,২০১৬)  

যাদবপুরের ইন্ডয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দি কাল্টিভেশন অব সায়েন্স ( IACS ) এর বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন । পদ্ধতিটি হল :- 

আর্সেনিক দূষিত জলের সঙ্গে জিঙ্ক সালফাইড ( Zinc Sulphide ) নামক যৌগের পাউডার মেশানো হলে ওই জল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার  ( WHO ) এর মাপকাঠি অনুযায়ী নিরাপদ জলে পরিনত হয় ।

২. ভূপৃষ্ঠের জল যেমন পুকুর,জলাশয়,হ্রদ, নদীর জল পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা যায় । বৃষ্টির জলও ব্যবহারের যোগ্য ।এইসব জলে আর্সেনিক দূষণ হয় না ।

৩. স্বল্প গভীর জলস্তর থেকে তোলা ভৌমজল ব্যবহার করা উচিত নয় ।

৪. আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের জন্য ব্যবহৃত প্রযুক্তিগুলির মধ্যে অন্যতম হল কো-প্রেসিপিটেসন, আয়রন এক্সচেঞ্জ,অ্যাকটিভেটেড অ্যালুমিনা ফিলট্রেশন ইত্যাদি ।

           মিনামাটা রোগ ( Minamata Disease) 

পারদ দূষণের ফলে জাপানের মিনামাটা উপসাগর সংলগ্ন এলাকায় ১৯৫০-৬০ এর দশকে মানবদেহে যে দুরারোগ্য মারণ রোগের সৃষ্টি হয়েছিল, তাকে মিনামটা রোগ বা মিনামাটা ব্যাধি বলে ।

             :  মিনামাটা রোগের উপসর্গ :

এই রোগটিকে চিসো- মিনামাটা ডিজিজ-ও বলা হয় । এর ফলে মানুষের শরীরে স্নায়ুতন্ত্র ক্ষতিগ্ৰস্ত হয় । হাত-পা অসাড় হয়ে যায় । পেশি দুর্বল হয় ‌। মানুষ চোখে দেখা (Vision),কানে শোনা ( Hearing), কথা বলার ক্ষমতা ( Speech ) হারায় । প্যারালিসিস হয় । কোমা হয় । মৃত্যু হয় ।

              



   মিনামাটা রোগের কারণ :-

১৯৫০-৬০ এর দশকে জাপানের চিসো কর্পোরেশনের ( Chisso corporation )

কারখানা থেকে প্রচুর পরিমাণে মিথাইলমার্কারি মিনামাটা উপসাগরে ফেলা হত । ফলে স্থানীয়ভাবে পারদের মাত্রা ভীষণ বেড়ে যায় । কয়েক হাজার মানুষ মিনামাটা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় । সামুদ্রিক প্রাণী ও বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি হয় ।

                   : ইটাই-ইটাই ( Itai Itai ) :

ক্যাডমিয়াম ( Cadmium ) দূষণের ফলে জাপানের হনসু দ্বীপের তোয়ামা অঞ্চলে ১৯১২ সাল নাগাদ মানবদেহে যে ক্ষতিকর 

হাড়ের রোগ বিপর্যয় সৃষ্টি করেছিল তা ইটাই-ইটাই বা আউচ-অউচ রোগ নামে পরিচিত ।

                ইটাই-ইটাই রোগের উপসর্গ :-

শরীরের হাড় দুর্বল হয় । সহজে ভেঙে যায়। বিশেষত পায়ের হাড় ও শিরদাঁড়ার হাড় ক্ষতিগ্ৰস্ত হয় । অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা দেখা যায় । কিডনি ক্ষতিগ্ৰস্ত হয় । মৃত্যু হয় ।

                 ইটাই-ইটাই রোগের কারণ :-

ষোড়শ শতক থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রায় মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়ে জাপানের হনসু দ্বীপের তোয়ামা অঞ্চলে সোনা,রূপো,সিসা, তামা,জিঙ্ক প্রভৃতি খনিজ উত্তোলনের জন্য কামিওকা খনি বিখ্যাত ছিল । খনিতে খননের ফলে প্রচুর ‌ক্যাডমিয়াম,যা জিঙ্ক এর সঙ্গে পাওয়া যায়, পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে । ফলে জিনজু নদীর জল দূষিত হয় । এই জল চাষের জন্য ব্যাবহার করা হত । তাই বিরাট এলাকা জুড়ে জল ও মাটি ক্যাডমিয়াম দূষিত হয়ে পড়ে । এটি ভারী ধাতুঘটিত দূষণ ।

জলদূষণের ফলে জীবাণুঘটিত জলবাহিত রোগ :-

 ১. এককোশী প্রোটোজোয়া ঘটিত রোগ :-

      অ্যামিবায়োসিস,জিয়ার্ডিয়াসিস অর্থাৎ             আমাশয়,জিয়ার্ডিয়া ।

২. ভাইরাস ঘটিত রোগ :- 

ভাইরাল হেপাটাইটিস এ এবং ই,পোলিও ।

৩. জীবাণুঘটিত রোগ :-

টাইফয়েড,প্যারাটাইফয়েড,কলেরা,ব্যাসিলারি ডিসেন্ট্রি ।

৪. কৃমিঘটিত রোগ :- গোলকৃমি ও ফিতাকৃমি থেকে হইডেটিড রোগ ।

      -: জলদূষণ নিয়ন্ত্রণ করার উপায় :-

 দূষিত জলকে নিয়ন্ত্রণ করার যেমন প্রত্যক্ষ উপায় আছে, তেমনি জল যাতে দূষিত না হয়, তার জন্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও আছে । যেমন :-

১. নদী,খাল- বিল, পুকুর,হ্রদ, সমুদ্রের জলে সরাসরি আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা ও পয়ঃপ্রণালীর আবর্জনা নিয়ন্ত্রণ করা ।

২. জলকে শোধন করে তবেই নদী,খাল-বিল , জলাশয়ে ছাড়ার বন্দোবস্ত করা ।

৩. বর্জ্য জলের শুদ্ধিকরণের বন্দোবস্ত করা ।

৪. সমুদ্রের জলে তেল ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করা ।

৫. জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা ।

৬. শুধুমাত্র আবর্জনা দিয়ে পুকুর বা জলাশয় ভরাট বন্ধ করা ।

৭. জলদূষণ সংক্রান্ত আইনগুলি মেনে চলা ।

৮. চাষ-আবাদের কাজে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশকের প্রয়োগ নিয়ন্ত্রণ করা ।

PROVIDE BY KAYENATH BEGAM