ওজোন স্তর (OZONE LAYER)
1913সালে ফরাসী বিজ্ঞানী ফ্যাব্রি ও বুশন সর্বপ্রথম ওজোন স্তরের উপস্থিতি প্রমাণ করেন ।
সংজ্ঞাঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার বা শান্তমণ্ডলের মধ্যে 15-30 কিমি (মতান্তরে 20-50কিমি) উচ্চতার মধ্যে ওজন গ্যাসযুক্ত যে বায়ুস্তরটি রয়েছে তাকে ওজোনমণ্ডল বা ওজোনস্তর (Ozonosphere Or, Ozone Layer) বলা হয় ।
বিস্তারঃ স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের মধ্যে 15-30 কিমি (মতান্তরে 20-50 কিমি) উচ্চতায় ওজোন স্তর অবস্থিত ।
বৈশিষ্ট্যঃ ওজোনমণ্ডল বা ওজোনস্তর – এর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো নিম্নরূপ –
(ক) এই স্তরটি মূলত ওজন গ্যাস (O3) দ্বারা গঠিত ।
(খ) এই স্তর সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মিকে শোষণ করে ।
(গ) এই স্তরটি বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে ।
গুরুত্বঃ ওজোনমণ্ডল বা ওজোনস্তর – এর গুরুত্বগুলি হলো নিম্নরূপ –
(ক) এই স্তরে ওজোন গ্যাসের একটি পর্দা আছে, যা সূর্য থেকে বিচ্ছুরিত অতিবেগুনি রশ্মিকে (Ultra-Violet Ray) শোষণ করে ভূপৃষ্ঠে আসতে দেয় না, যার ফলে জীবজগৎ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পায় ।
(খ) বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য বজায় রাখে ।
(গ) জীববৈচিত্র রক্ষা করে ।
(ঘ) ওজোন গ্যাস সূর্যের তাপ ও অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে, ফলে এই স্তরের তাপমাত্রা খুব বেশি হলেও তা বায়ুমন্ডলীয় তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
ওজোন স্তরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ভূমিকার জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ওজোন লেয়ার সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে সেপ্টেম্বরের 16তারিখটি মনোনীত করেছে।
ওজোন গ্যাসের বিনাশের কারণ :
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে 15 থেকে 30 কিমি উচ্চতায় রয়েছে। পুরু ওজোন গ্যাসের স্তর। এখানে ওজোন গ্যাসের ধ্বংস ও সৃষ্টি—দুইই ঘটে থাকে। তবে এই গ্যাসের সৃষ্টি অপেক্ষা ধ্বংসের পরিমাণ বেশি হলে ওজোন স্তর পাতলা বা ক্ষয় হতে থাকে। ওজোন গ্যাসের বিনাশ ঘটে যেসব কারণে সেগুলি হল一
(১) প্রাকৃতিক কারণ : সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির উপস্থিতিতে একটি ওজোন কণার (O৩) সঙ্গে একটি অক্সিজেন পরমাণুর (O) আলােক রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে ওজোন ধ্বংস হয়। এই বিক্রিয়ায় ওজোন কণাটি অক্সিজেন অণুতে পরিণত হয়। প্রকৃতিতে ওজোন গ্যাসের ধ্বংস ও সৃষ্টি খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
(২) মনুষ্যসৃষ্ট কারণ : মানুষের বিবিধ কাজকর্মের ফলে বিভিন্ন গ্যাস উৎপন্ন হয়, যেমন জীবাশ্ম জ্বালানির দহন থেকে নাইট্রোজেন অক্সাইডসমূহ (NOx,), পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে বাতাসে নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড (NO২,) বৃদ্ধি, কারখানার চিমনি থেকে সালফেট এরােসল, হিমায়ন যন্ত্রে ব্যবহৃত CFC-11, 12, 22, 113, হ্যালােন ইত্যাদি গ্যাস। এসব গ্যাসের সঙ্গে O3, র বিক্রিয়া ঘটলে ওজোন গ্যাসের বিনাশ ঘটে।
কুমেরু/অ্যান্টার্কটিকায় ওজোন গহ্বর সৃষ্টির কারণ
বায়ুমণ্ডলের স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে ওজোন গ্যাসের ঘনত্ব 200 ডবসন একক অপেক্ষা আরও কমে গিয়ে ওজোন স্তরের ক্ষয় বা পাতলা হয়ে যাওয়াকে ডক্টর জি.সি. ফারমেন ওজোন গহ্বর বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসে (দক্ষিণ গােলার্ধের বসন্তকালে) অ্যান্টার্কটিকার ওপরে স্ট্রাটোস্ফিয়ারে এই গ্যাসের ঘনত্ব অনেক কমে গিয়ে ওজোন গহ্বর সৃষ্টি হয়। এই গহ্বর যেভাবে সৃষ্টি হয় তা নীচে আলােচনা করা হল
প্রথম পর্যায়ে : শীতকালে সূর্যের অনুপস্থিতিতে অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা দ্রুত হ্রাস পায়। ফলে দক্ষিণ মেরুর চতুর্দিকে ঘূর্ণায়মান পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ খুব বেড়ে যায় এবং এর কেন্দ্রে একটি আবর্তের (Vortex) সৃষ্টি হয়। এই আবর্তের মধ্যস্থিত বাতাসের গতিবেগ 300 কিমিরও বেশি হয়। ফলে আবর্ত মধ্যস্থিত বায়ু চারপাশের বায়ু থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এবং তখন বায়ুর উয়তা অধিক মাত্রায় হ্রাস পেয়ে নেমে আসে –80 °সে.।
দ্বিতীয় পর্যায় : এই পর্যায়ে স্ট্রযাটোাস্ফিয়ারে মেঘের (Polar Stratospheric Cloud - PSC) সৃষ্টি হয়। জল ও নাইট্রিক অ্যাসিড ঘনীভূত হয়ে নাইট্রিক অ্যাসিডের ট্রাইহাইড্রেট কেলাসরূপে এই মেঘে অবস্থান করে। এই সময় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের ওজোন স্তরে ক্লোরিন নাইট্রেট এবং হাইড্রোজেন ক্লোরাইড (HCl) নিষ্ক্রিয়ভাবে আবর্তের চারিদিকে অবস্থান করে।
তৃতীয় পর্যায় : হাইড্রোজেন ক্লোরাইডের সঙ্গে ক্লোরিন নাইট্রেটের সংঘাত ঘটলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় আণবিক ক্লোরিন (Cl২) গ্যাস উৎপন্ন হয়।
অন্তিম পর্যায়: বসন্তের প্রথমে সূর্যের আবির্ভাবে আণবিক ক্লোরিন অতিবেগুনি রশ্মির দ্বারা ভেঙে গিয়ে পারমাণবিক ক্লোরিনে (CI) পরিণত হয়। এই ক্লোরিন পরমাণু ওজোন অণুকে অক্সিজেন (O2) এবং ক্লোরিন মনােক্সাইডে (ClO) পরিণত করে।
এভাবে ওজোন অণুর বিয়ােজনের ফলে স্ট্রাটোস্ফিয়ারের নীচের দিকে ওজোন স্তর পাতলা হয় এবং এই স্তর ক্রমাগত পাতলা হতে হতে একসময় ওজোন গম্বর সৃষ্টি হয়।
ওজোন স্তরের বিনাশ ও বিশ্ব উষ্ণায়ন:
এই বিশ্ব সবসময় চলে তার নির্দিষ্ট ছন্দে ভারসাম্য রক্ষা করে। যখন অত্যাধিক মাত্রায় অত্যাচার বা অপব্যবহারে ক্ষুণ্ন হয়ে ওঠে, তখনই সে হয় প্রতিবাদে সোচ্চার। এই নিয়ম চলে আসছে সূচনা লগ্ন থেকেই। প্রকৃতিও তার ব্যতিক্রম নয়। আধুনিক সভ্যতায় মানবজাতির দ্বারা বিভিন্নভাবে প্রতিনিয়ত অত্যাচারিত হচ্ছে প্রকৃতিমাতা। নদীবক্ষে অবৈজ্ঞানিকভাবে বাঁধ
নির্মাণে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে তার আপন গতি। এছাড়া প্রতিদিন বেড়ে চলেছে দূষনের মাত্রা। তাই পক্ষান্তরে প্রকৃতিও নিচ্ছে বদলা, নিজের খেয়ালে। মানব জাতির দৈনন্দিন জীবন স্তব্ধ করে তুলতেও সক্ষম হয়েছে সে।উদাহরণস্বরূপ বন্যা, খরা, ভূমিকম্প, ধ্বস, মহামারি, তাপমাত্রা বৃদ্ধি -- সর্বোপরি বিশ্ব উষ্ণায়ন (Globel Warming) এবং ওজোন স্তরের বিনাশ (Ozone Depletion)। যা বর্তমান শতাব্দীতে এক জলন্ত সমস্যা।
ওজোন স্তরের প্রকৃতি ও গঠনঃ-
ওজোন হল অক্সিজেনের 3 টি পরমাণু বিশিষ্ট একটি রূপ। হাল্কা নীল রঙের তীব্র আঁশটে গন্ধযুক্ত উত্তেজক একটি গ্যাস হল ওজোন। বায়ুমন্ডলে অক্সিজেন অণু ও স্বতন্ত্র অক্সিজেন পরমাণু সংযোজনে ওজোন তৈরি হয়।বায়ুমন্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারের 12-35কিমি উচ্চতায় সবচেয়ে বেশি মাত্রায় ওজোন গ্যাস পাওয়া যায়। যা ওজোন মন্ডল নামে পরিচিত। আর এই ওজোন মন্ডল ছাতার ন্যায় ক্ষতিকারক অতি বেগুনি রশ্মির (UV-B & UV-C) হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে, তাই একে প্রাকৃতিক সৌরপর্দাও বলা হয়।
ওজোন হোল:
বায়ুমন্ডলের স্ট্রাটোস্ফিয়ারে ওজোন স্তর সৌরবিকিরনের ক্ষতিকারক উপাদানের (অতি বেগুনী রশ্মী) হাত থেকে সমগ্ৰ জীবজগৎ-কে রক্ষা করছে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ক্ষতিকারক গ্যাস, পরিবেশ দূষন প্রভৃতি কারনে ক্রমশ ওজোন স্তর পাতলা হচ্ছে।উদাহরন স্বরূপ দক্ষিন মেরুর ক্লোরিন দূষন জনিত ওজোন গহ্বর (Ozone Hole) এক ভয়াবহ পরিবেশ সংকটের সৃষ্টি করেছে। 1985 সালে জে. সি. ফারমেন, শ্যাঙ্কলিন, গার্ডিনার প্রথম Antarctic Ozone Hole আবিষ্কার করেন। তারা লক্ষ্য করেন 1970 সালের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রতিবছর সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে ওজোন স্তর দ্রুত পাতলা হচ্ছে এবং 1980সালের অক্টোবর মাসে এই অঞ্চলে ওজোন স্তর পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়। ফারমেন এই ক্ষয়কে 'Ozone Hole' নামে অভিহিত করেন।
ওজোন স্তর বিনাশের কারণঃ-
প্রাকৃতিক উপায়ে ওজোন স্তর বিনাশ হলেও, বর্তমান প্রেক্ষাপটে মানবসৃষ্ট দূষণের কারনে ওজোন স্তর বিনাশই মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। ওজোন স্তর বিনাশকারী মূল উপাদান হল ক্লোরিন। যার উৎস আধুনিক জগতের ব্যবহৃত CFC যৌগ (ক্লোরোফ্লুরোকার্বন)। এই বিষাক্ত গ্যাস বর্তমানে অত্যাধিক মাত্রায় বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে নির্গত হচ্ছে এবং বায়ুমন্ডলে মিশে পরিবেশের দূষনের মাত্রা বৃদ্ধি করছে। যার বানিজ্যিক নাম ফ্রেয়ন। এটি একটি অদাহ্য গ্যাস, যা ট্রপোস্ফিয়ারে UV রশ্মির দ্বারা আলোক রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় বিয়োজিত হয় ও ক্লোরিন উৎপন্ন করে। আর এই ক্লোরিন ওজোন অণুকে ভাঙতে থাকে।
ওজোন স্তর বিনাশের প্রভাবঃ-
ওজোন স্তরের ক্ষয়জনিত কারনে সমগ্ৰ জীবমন্ডলে
UV-B & UV-C রশ্মির তীব্রতা বৃদ্ধি পরিবেশ উদ্বেগের প্রধান কারন। ওজোন স্তর ক্ষয়ের প্রভাবগুলি নিম্নরূপ --
(১) মানুষের ত্বকের ক্যানসার।
(২) উদ্ভিদের উৎপাদনশীলতা হ্রাস।
(৩) প্রাণীর বৃদ্ধি ও বংশবিস্তার ব্যাহত।
(৪) উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষ ব্যাহত।
(৫) মানুষের চোখে ছানির সমস্যা।
(৬) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) হ্রাস।
এছাড়া সমগ্ৰ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা Global Warming সহ নানা সমস্যা।
ওজোন স্তর বিনাশ ও বিশ্ব উষ্ণায়নঃ-
ওজোন স্তর বিনাশ ও বিশ্ব উষ্ণায়ন (Ozone Depletion and Globel Warming) শব্দ দুটি একে অপরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ওজোন স্তর বিনাশের জন্য সমগ্ৰ বিশ্বের তাপমাত্রা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য আমরা CFC ছাড়াও নাইট্রাস অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন ইত্যাদি গ্যাসগুলিকে দায়ী করতে পারি। এদের একত্রে 'গ্ৰীনহাউস গ্যাস' বলা হয়। এ. বি. পিটলক (1972) এর মতে, এই গ্ৰীনহাউস গ্যাস গুলির প্রভাবে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্ৰী বাড়তে থাকে, ফলে সুমেরু ও কুমেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি ঘটে। ফলস্বরূপ লবনাক্ত জল স্থলভাগকে জলমগ্ন করলে মৃত্তিকার উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। এছাড়া এই উষ্ণায়নের প্রভাবে --
(১) বহু অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধির জন্য বৃষ্টিপাতের পরিমান কমে এবং একসময় খরা দেখা যায়।
(২) কৃষিপ্রধান অঞ্চলে ভৌমজলের পরিমান কমতে থাকে।
(৩) সমুদ্রজলের অম্লতা বৃদ্ধিতে সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র বিঘ্নিত হয়।
(৪) জীব ও উদ্ভিদ দেহে ত্বকজনিত সমস্যা, চক্ষুরোগ সহ ক্যানসারের মত ভয়াবহ রোগ দেখা যায়।
(৫) পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়লে অসংখ্য প্রজাতির উদ্ভিদ চিরতরে বিলুপ্ত হবে।
(৬) অ্যাসিড বৃষ্টির অন্যতম কারন হিসাবেও আমরা এই তাপমাত্রা বৃদ্ধিকে চিহ্নিত করতে পারি।
মন্ট্রিল প্রোটোকলঃ-
মন্ট্রিল প্রোটোকল (Montreal Protocol) হল সবচেয়ে সফল আন্তর্জাতিক পরিবেশ চুক্তি (International Environmental Agreement), যা 1987 সালে CFC, হ্যালন সহ ওজোন স্তর বিনাশকারী গ্যাসগুলির উৎপাদন পুরোপুরি আইনি ভাবে বন্ধ করতে সচেষ্ট হয়ে ওঠে। 1989সালে তা কার্যকর হয় এবং 1990এর মাঝামাঝি সময় থেকে ওজোন স্তর ক্ষয়ের কিছুটা স্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যায় এবং পরবর্তী শতাব্দী গুলোতে ওজোন গহ্বরের নিরাময় চলতে থাকে। 2019সালের NASA প্রদত্ত তথ্যানুসারে Ozone Hole এর আয়তন হ্রাসের চিত্র আমাদের মনে আংশিক আশার আলো সঞ্চারিত করে।
1994 সালে United Nations General Assembly16 ই সেপ্টেম্বরকে World Ozone Day হিসাবে চিহ্নিত করে। প্রতিবছর এই দিনটি ওজোন স্তর সংরক্ষনের জন্য পালন করা হয়। কিন্তু এছাড়াও এর প্রধান উদ্দেশ্য হল ওজোন স্তর বিনাশকারী উপাদান গুলির উৎপাদন হ্রাস এবং অবশ্যই জনসাধারনের মধ্যে সচেতনতা জাগ্ৰত করা। মানবজাতির সুষ্ঠু উদ্যোগ এবং সচেতনতা ছাড়া কোন ভাবেই কোন আইন বা কোন নীতিরই তার অভীষ্টে পৌঁছতে পারে না।
তথ্যসূত্রঃ- জলবায়ু বিজ্ঞান -ইন্দ্রকুমার চ্যাটার্জী ; Wikipedia
ভূগোলিকা-Bhugolika
0 মন্তব্যসমূহ